সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে এলোমেলো ফুটবল উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। পঞ্চদশ মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে দুর্বল শট নেন রাকিব। এরপর শমিতের পাসের গতি ধরতে না পেরে রাকিবের ফিরতি মিস। সেই সঙ্গে ফাহামিদুলের সময়ক্ষেপণে আরেকটি সুযোগ মিস। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের মাঝমাঠের সঙ্গে আক্রমণভাগের বিচ্ছিন্নতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেটার সুযোগ নিয়েই প্রথমার্ধে এক গোল আদায় করে নেয় সিঙ্গাপুর।
চার ‘বিদেশি’ যেমন খেললেন
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল কানাডিয়ান ক্লাবে খেলা শমিত সোমের। তার সঙ্গে একাদশে ছিলেন আরো তিনজন- হামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম ও কাজেম শাহ। প্রথম ম্যাচেই শমিত নিজের সেরাটা দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। দারুণভাবে রক্ষণভাগ সামলেছেন কাজেম শাহও। হামজা নিজের দায়িত্ব পালনে ছিলেন একনিষ্ঠ। শেষ মুহূর্তে তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে এক পয়েন্ট পেয়েই যেত বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে নিজেকে চেনাতে পারেননি ফাহামিদুল। ইতালিয়ান ক্লাবে খেলা এই ফরোয়ার্ড ম্যাচের ৪০তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সময়ক্ষেপণ করে সুযোগ হারান।
জামাল ভূঁইয়ার অনুপস্থিতি
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। দ্বিতীয়ার্ধেও তাকে মাঠে নামাননি কোচ। এমন সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে সমালোচনার। মাঝমাঠে দলের প্রাণভোমরা জামাল। আগের ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে তার কর্নার কিকেই হেডে গোল করেন হামজা চৌধুরী। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জামালের জায়গায় কোচ খেলিয়েছেন শমিতকে। এ ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হলো কানাডা লিগে খেলা এই মিডফিল্ডারের। ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করেছেন শমিত। তবে জামাল খেললে হয়তো ফলাফল পক্ষেও আসতে পারতো।
স্ট্রাইকার থেকে ‘ডিফেন্ডার’ রাকিব
রাকিব হোসেন সাধারণত উইঙ্গার হিসেবেই খেলেন। তবে কোচ কাবরেরা তাকে খেলিয়েছেন স্ট্রাইকার হিসেবে। অপরিচিত পজিশনে বেশ ভুগেছেন রাকিব, দলকেও ভুগিয়েছেন। ৩১তম মিনিটে শোমিতের রক্ষণচেরা পাসের গতি একটু বেশি ছিল। রাকিব ছুটে গিয়েও বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি। আর দ্বিতীয়ার্ধে রাকিবকে নিয়ে চমক দেখিয়েছেন কাবরেরা। এই স্ট্রাইকারকে নিচে নামিয়ে বানিয়ে দিলেন ডিফেন্ডার! কাজেমকে উপরে উঠিয়ে দায়িত্ব দিলেন আক্রমণের! ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশের জন্য কোচের এই গোলমেলে সিদ্ধান্ত তুলে দিয়েছে প্রশ্নের দেয়াল!
ডিফেন্ডারদের ‘বড় ভুল’
দুই গোল হজমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন ডিফেন্ডাররা। ৪৫তম মিনিটে হারিসের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল উঁচুতে উঠে যায়। বলের পজিশন দেখে গোলরক্ষক মিতুল মারমা পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করতে চাইলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল চলে যায় হ্যারিসের পায়ে। তার ক্রসে জাল খুঁজে নেন উই-ইয়াং। হামজা দ্রুতগতিতে ছুটে গিয়েও ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। এরপর সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় গোলটিতে বড় দায় সাদ উদ্দিনের। হামি শাহিনের জোরালো শট মিতুল সেভ করার পর ফিরতি বল চলে যায় ফান্দির সামনে। ঠিক পেছনে থাকা সাদ চাইলেই অনায়াসে বল ক্লিয়ার করতে পারতেন। কিন্তু হায়! তিনি কোনো চেষ্টাই করলেন না। মোহাম্মদ হৃদয়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে জাল খুঁজে নেন ফান্দি।
গোলরক্ষকের ব্লান্ডার
পুরো ম্যাচে বেশ ভুল করেছেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। বেশ কয়েকবার পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। প্রথম গোল হজমের পেছনে তার পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসাই দায়ী। এরপর দ্বিতীয় গোলের আগে ফান্দির নেওয়া শট গ্লাভসবন্দি করার সুযোগ ছিল তার সামনে। তবে ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়েই ফিরতি বল তুলে দেন এই গোলরক্ষক। ম্যাচের পরে অবশ্য নিজের বাজে পারফরমেন্সের জন্য ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়েছেন মিতুল।
স্বাস্থ্য
আরও ৫১ জনের করোনা শনাক্ত 03-02-2024বিনোদন
নতুন গানে ইভা রহমান 31-01-2024বিশ্ব
ব্রিটেনের রাজা ক্যানসারে আক্রান্ত 02-02-2024বাংলাদেশ
পঞ্চগড়ে দিনে তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অনুভূত হচ্ছে শীত 02-02-2024