অপরদিকে নানা ওটিটি বা বিনোদনের নামে দেশের টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে। এর ওপর ১০০ টাকার ইন্টারনেটে ৬০ টাকা নিয়ে যাচ্ছে সরকার। পাশের দেশ থেকে ইন্টারনেট সেবার অন্যতম হাব সিডিএন দেশে স্থাপন করা হলে ইন্টারনেটের দাম ৫০ শতাংশ কমে যাবে। তাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে মোবাইল অপারেটরদের সুযোগ দিতে নতুন লাইসেন্সিং-এর ক্ষেত্রে হুটহাট করে পলিসি বদল না করার জন্য মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দাতাদের হাতে হাত রেখে আহ্বান করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন আয়োজিত 'প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুতগতির মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় কথা বলেন বক্তারা। সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মুস্তাফা মাহমুদ হোসাইন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রযুক্তিবিদ ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান, টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মাহতাব উদ্দিন, আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, বিডিজবসের সিইও ও বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর, আইএসপিএবির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, বেসিসের অ্যাসোসিয়েট কমিটির সভাপতি রাফেল কবির, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসির, গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র ডিরেক্টর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, রবির রেগুলেশনের ডিরেক্টর শাহ মো. ফজলে খোদা প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে সুপারিশে বলা হয়, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা খাতে সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি হতে হবে সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস। কোয়ালিটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করতে হবে। ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে আনতে হবে। ডাটার কোনো মেয়াদ থাকবে না। ইন্টারনেট যেকোনো অজুহাতে সরকার বন্ধ করবে না, এই ঘোষণা অথবা এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
সুপারিশে আরো বলা হয়, অবৈধ আইএসপি ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের আইএসপি ব্যবসা থেকে বিরত রাখতে হবে। ওভারহেড ফাইবার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। ব্যান্ডউইথ ও এনটিটিএনের দাম নির্ধারণ না করে বাজার প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দিতে হবে। ইন্টারনেটের ওপর কর কমিয়ে আনতে হবে। সহজলভ্য হ্যান্ডসেট গ্রাহকদের কাছে কিস্তির মাধ্যমে অপারেটরদেরকে বিক্রয়ের জন্য বাধ্য করতে হবে।
বাংলাদেশ
পঞ্চগড়ে দিনে তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অনুভূত হচ্ছে শীত 02-02-2024স্বাস্থ্য
আরও ৫১ জনের করোনা শনাক্ত 03-02-2024বিনোদন
নতুন গানে ইভা রহমান 31-01-2024বিশ্ব
ব্রিটেনের রাজা ক্যানসারে আক্রান্ত 02-02-2024