সাম্প্রতিক খবর

বাংলাদেশ
views

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ইউনুছ আলী (৬২) মারা গেছেন। বুধবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার আমার দেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তালিয়ান শ্মশানঘাট এলাকায় একই ঘটনায় ইউনুছ আলীর ভাই মহব্বত আলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত মহব্বত আলী ও ইউনুছ আলী কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

মামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক কোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডাক্তার নুরুল ইসলামকে এক নম্বর আসামি করে ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জামাল ও কোলা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ডাক্তার নুরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। নজরুল মোল্লার পক্ষে ছিলেন নিহত দুই ভাই ইউনুছ আলী ও মহব্বত আলী।

নিহত মহব্বত আলীর ছেলে ইনামুল হক বলেন, “আমরা বিএনপি করি। গত ১৭ বছর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হয়েছি। এখন সে সব সন্ত্রাসীরা বিএনপির একটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে আমাদের খুন জখমসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে, তারা আমার বাবাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এমন বিএনপি চাইনি, আমরা শান্তি চাই।

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, আমার কোন অনুসারি বিএনপি কর্মী মহব্বত আলীকে হত্যা করেনি। সামাজিক কোন্দলে বিএনপির ওই কর্মী খুন হয়েছে।

ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বাধিক দেখা খবর